Description
মাকে আবার বলুন, মা গরুর ঘানি ভাঙা সরিষার তেল দিয়ে তোমার হাতের আলু ভর্তা, বাদাম ভর্তা, সরিষা ইলিশ খাবো।
মার মনটা হয়তো খারাপ হয়ে গিয়েছে আপনার এই আবদার শুনে, কারণ মা এই সময় গরুর ঘানিভাঙা সরিষার তেল কোথায় পাবেন?
মায়ের মন ভালো করার জন্য বিলুপ্ত প্রায় এই গরুর ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল মার হাতে তুলে দিবে শিকড়। মা তুমি ঘরে থাকো আমরাই আসছি।
কেন খাবেন ঘানিভাঙা সরিষার তেল –
-ত্বকের তামাটে ভাব দূর করে
-ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
-চুল পাকা রোধ করতে
-ক্ষুধা বৃদ্ধি করে
-চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
-শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় যা হৃদরোগের সম্ভবনা হ্রাস করে।
-নিদ্রাহীনতা প্রতিরোধক
-শ্বাস কস্টের প্রদাহ হ্রাস করে।
-মাথা ব্যথা কমায়।
-শুষ্ক ত্বক মসৃণ ও কোমল করে।
-ত্বকের প্রদাহ দূর করে।
-কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
-সামান্য কাটা ছেঁড়ায় এন্টিসেপটিক এর কাজ
অর্ডার করে গরুর ঘানি ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেল পাবেন ঘরে বসেই।

সরিষা তেলের উপকারিতা
সরিষার তেলের উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন। এ তেল দিয়ে শুধু ত্বকই নয়- হৃৎপি-, পেশি, গাঁটের সমস্যা পর্যন্ত দূর করা যায়। সরিষার তেল ভেষজ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এটি ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং সহজেই হজমকারক। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শ্বাসনালি এবং মূত্রনালি ও ব্রঙ্কাইটিস ইনফেকশন সারাতে সরিষার তেল বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ তেলে রোগের জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতা রয়েছে। এর উপাদান শরীর ক্ষুদ্রান্ত্রের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং ফুসফুস ও বৃহদান্ত্রের প্রয়োজনীয় জীবাণুকে কোনোরকম ক্ষতি না করেই কিডনির মাধ্যমে তা নিষ্কাশিত করে দেয়। এই তেল বৃহদান্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও হজমে সহায়তা করে। তবে এ ক্ষেত্রে কি রকম তেল ব্যবহার করতে হবে- সেটা না জানলে ফলাফল খারাপ হতে পারে। লক্ষ্য রাখার বিষয় হলো, শরীরের জন্য নামি-দামি ব্যান্ডের সরিষার তেল কিন্তু মোটেও উপকারী নয়। আসলে প্রয়োজন খাঁটি সরিষার তেল। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যান্ডেড তেল নয়, খাঁটি সরিষা থেকে ঘানিতে তৈরি করা তেল ব্যবহার করতে হবে।সরিষার তেল থেকে আরও কতগুলো উপকার মিলতে পারে। যেমন- এক. সরিষার তেল অ্যালার্জি ও র্যাশ প্রতিরোধে সাহায্য করে। দুই. ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে প্রতি রাতে সম পরিমাণ সরিষার তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে মিনিট দশেক ধরে মাসাজ, তারপর ভালো করে মুখ ধুয়ে ঘুমোতে গেলে ত্বক যেমন নরম থাকবে, তেমন উজ্জ্বলও হবে।তিন. ত্বকে কালসিটে পড়া স্বাভাবিক। এ অবস্থায় ডার্ক স্পট, ট্যান বা পিগমেন্টেশন ঠেকাতে বেসন, দই, লেবুর রসের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে মুখে-ঘাড়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেললে দারুণ উপকার পাওয়া যাবে। চার. সরিষার তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপেক্স। ফলে এটি রিংকল বা দেহের নানান কালসিটে দাগ কমিয়ে দেয়। পাঁচ. সানস্ক্রিনে মুখে খুব ঘাম হলে বা ত্বক নষ্ট হতে থাকলে অল্প সরিষার তেল হাতের তালুতে ঘষে মুখে লাগিয়ে নিলে তা সূর্যের ক্ষতিকারক আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। তবে বেশি তেলে ধুলোবালি ধরে রাখে ত্বক। তাই খেয়াল রাখতে হবে পরিমাণের দিকে। ছয়. সরিষার তেল অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর। তাই এ তেল অ্যালার্জি ও র্যাশের হানা প্রতিরোধে সাহায্য করে। সাত. ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি রুখতেও সরিষার তেল বিশেষ কাজে আসে।
Reviews
There are no reviews yet.